[english_date]

ঈদের আগে ও পরে তিন দিন ট্রাক-লরি চলাচল নিষিদ্ধ

এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যানজটকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সড়কপরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এক্ষেত্রে ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মহাসড়কে ট্রাক-লরি চলাচল নিষিদ্ধ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

অন্যদিকে, রেল মন্ত্রী জানিয়েছেন ঈদে প্রতিদিন গড়ে আড়াই লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় তারা এসব কথা বলেন। দুর্বিষহ যানজট, বাড়তি ভাড়া, কিংবা নিরাপত্তা এসব বিষয়ই ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত সড়কপথে বিভিন্ন স্থানে লাগামহীন যানজট আতংকের কারণ হয়ে পড়ে বাসযাত্রীদের। এবারের ঈদে বেশ আগেভাগেই এসব সমস্যা সমাধানে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্টরা। সেখানেই সড়কপরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, এবার রাস্তাঘাট ঠিক থাকলেও যানজট মুক্ত যাত্রা নিশ্চিত করাই হবে তার মূল চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, ‘রাস্তা ভালো আছে সেটি আমি জানি। কিন্তু আমি এটি বরতে পারি না যানজট হবে না। দুটি গাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে আমাদের রাস্তায় কি হয়, সেটি সবাই জানি’। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোকে যানজটমুক্ত রাখতে কড়া নজরদারি থাকবে। একইসাথে মহাসড়কগুলোর যানজট প্রবণ এলাকায় থাকবে ওয়াচ টাওয়ার ও পর্যাপ্ত রেকার।

হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, সেখান থেকে রোডে কোথায় যানজট হচ্ছে আমরা মনিটর করতে পারবো এবং ম্যানুয়ালি ব্যবস্থা নেব যাতে যানজটটি নিরসন করা যায়’।

আর ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে ভালো কোঅরডিনেশন হয়েছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না’। সভায় জানানো হয়, ১০ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত সব সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। গার্মেন্টস কারখানাগুলো বিভিন্ন দিনে বন্ধ ও খোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়কপরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন, জাতীয়, আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে’। সভায় রেলমন্ত্রী জানান, আগামী ৯জুলাই থেকে শুরু হবে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি। আর নৌমন্ত্রী যথারীতি ঘোষণা দেন, লঞ্চে বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠাতে কঠোর নজরদারি থাকবে। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন আড়াই লক্ষ্য যাত্রী যাতে পরিবহন করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করবো’।

আর নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় যাতে বন্ধ করা হয়, সেই ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খারাপ আবহাওয়ায় যাতে লঞ্চ চলাচল না করে, সেই ব্যাপারে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি’। সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সকল মহাসড়কে থাকবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ