রাস্তাঘাটে বাস-ট্রেনে এদিক ওদিক তাকালেই দেখতে পাবেন ইয়ারফোন কানে গুঁজে গানে বুঁদ হয়ে রয়েছেন, আর মাথা দোলাচ্ছেন বেশ কিছু লোক। ইয়ং জেনারেশন তো বটেই, এখন মাঝবয়সীদের মধ্যেও এটা যেন ছোঁয়াচে রোগের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। আশপাশে কী ঘটছে হুঁশ নেই তাঁদের। পথ চলতে গান শুনে আনন্দ নিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু এর ক্ষতিরকারক দিকটা আমরা কখনও খেয়াল রাখি না। আসুন দেখে নিই ইয়ারফোন ব্যবহারের মারাত্মক ফলগুলি।
দুর্ঘটনা
ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দুর্ঘটনার মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। জোরে গান চালিয়ে শোনার ফলে আশপাশের আওয়াজ শুনতে না পাওয়ায় এই দুর্ঘটনা আরও বাড়ছে।
শোনার ক্ষমতা
ইয়ারফোনে লাগাতার গান শুনলে শোনার ক্ষমতা ৪০-৫০ ডেসিবেল কমে যায়। কানের পর্দা কাঁপে। দূরের আওয়াজ শুনতে অসুবিধা হয়।
কানে ব্যথা
আজকাল প্রায় ৬০ শতাংশ ইয়ং জেনারেশনের কানের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে। পাশাপাশি, কানে ব্যাথা, মাথা ধরার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।
কম ব্যবহার
যথটা সম্ভব পারুন ইয়ারফোনের কম ব্যবহার করুন। যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে কাজ করতে হয়, তা হলে সেক্ষেত্রে ৫ মিনিট করে ব্রেক নেওয়া দরকার।
কানের পর্দার ক্ষতি
ভাল কোয়ালিটির ইয়ারফোন ব্যবহার করা দরকার। ইয়ারবাড ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। পরিবর্তে ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। কারণ ইয়ারফোন কানের বাইরে লাগাতে হয়। কিন্তু ইয়ারবাড কানের ফুটোতে ঢুকিয়ে গান শোনার ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন অনেক বেশি হয় যা পর্দার ব্যাপক ক্ষতি করে।
জোরে গান শোনা
ফুল ভলিউমে গান চালিয়ে না শোনাই ভাল। এতে মানসিক সমস্যার পাশাপাশি হার্টের রোগ এবং ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানের নানা রকম জটিল সমস্যাও দেখা দেয়।
আওয়াজের মাত্রা
সাধারণত আমাদের কান ৬৫ ডেসিবেল আওয়াজ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু ৯০ ডেসিবেল আওয়াজ যদি ৪০ ঘণ্টার বেশি কেউ শোনে, তা হলে তাঁর পুরোপুরি কালা হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসকদের মত
তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ইয়ারফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহারে কানের ভিতরে ছন ছন আওয়াজ, মাথা ঘোরানো, ঘুম না আসার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।