২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘ইসকনের নামে নৈরাজ্য করে স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল ভারত’

ইসকনের নামে নৈরাজ্য করে ভারত স্বৈরাচারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান। আজ বুধবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর শহরের শ্রমিক গণজমায়েত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারত ইসকনের নামে দেশে নৈরাজ্য ও নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা ভাবছে, দেশে নৈরাজ্য করে স্বৈরাচারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে। কিন্তু একবার স্বৈরাচার পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসেন না বা আসার সুযোগ নেই।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আরও বলেন, ‘দেশকে পরাধীনতায় আবদ্ধ করেছিল কারা? ৭১ সালে ৩টি মৌলিক চাহিদার জন্য স্বাধীনতা ডাক দিয়েছিল। পশ্চিম-পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যেন কোনো বৈষম্য থাকবে না। গণতন্ত্র দিতে হবে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে ইচ্ছা, তাকে দিব এবং ভাতের অধিকার দিতে হবে। কিন্তু সেখানে আমরা ৫৪ বছর কী দেখলাম? স্বাধীনতার নামে সংগ্রাম করে আমাদের কপালে জুটছে পরাধীনতা। এই পরাধীনতার কারণে মানুষের মনে আন্দোলনের চেতনা সৃষ্টি হয়। আর এই আন্দোলনের ফসল ৫ আগস্টের বিপ্লব বা আন্দোলন। এই আন্দোলন হচ্ছে, পরাধীনতাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করে স্বাধীনতার সত্যিকার স্বাদ ফিরিয়ে আনা। ৫ আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে মানুষ মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা অজির্ত হয়েছে, সেটা যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে। সে জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে।’
অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকেরা সত্যিকার অর্থে মজুরি না পাওয়ায় অনেক সময় কারখানাগুলোতে হামলা-ভাংচুর বা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এটি দেখতে হবে। যেন শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি পায়। এ ছাড়া কোনো শ্রমিককে ঠকানো যাবে না। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিত হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক হবে। দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বিদেশে শ্রম বাজার তৈরি হবে।’
এ সময় জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিন প্রমুখ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ