ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি আবারো তার দেশের কুর্দিস্তান অঞ্চলে অনুষ্ঠেয় গণভোটকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, সঠিক কোনো সমাধানের পরিবর্তে কুর্দিস্তানের জনগণকে ধোঁকা দেয়ার লক্ষ্যে এই গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
এবাদি বুধবার লেবাননের আল-মায়াদিন টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, একতরফাভাবে কুর্দিস্তানে গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে ইরাকের ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এই গণভোটকে তিনি ইরাকের সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেন।
ইরাকের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানের কিছু রাজনৈতিক দল গত সাত জুন এক বৈঠকে ইরাক থেকে ওই অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার প্রশ্নে গণভোট দেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করে। কুর্দিস্তান স্বশাসিত অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ওই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কুর্দিস্তানকে ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার এই কর্মসূচির প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছে বাগদাদ সরকার। সেইসঙ্গে ইরাকের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি প্রতিবেশী সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সমাজ এই গণভোটের বিরোধিতা করেছে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী কুর্দিস্তানের কারকুক প্রদেশে থেকে তেল বিক্রি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কারকুক থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তেল রপ্তানি করা হচ্ছে এবং এই তেল বিক্রির অর্থ প্রদেশের উন্নয়ন কাজে খরচ করা হচ্ছে না।
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের নিজস্ব সেনাবাহিনী ‘পিশমার্গা’ ২০০৩ সালে কারকুক শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং এরপর থেকে বাগদাদের অনুমতি ছাড়াই প্রদেশের তেল রপ্তানি শুরু করে। কারকুক হচ্ছে ইরাকের তেলসমৃদ্ধ দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ।