২০১৫ সাল যায় যায় করছে। যাবার পরও আমাদের জন্য রেখে যাবে অনেককিছুই তার কোন ইয়ত্তা নেই। ইন্টারনেটও দিয়েছে অনেক কিছুই।
২০১৫ সালে ইমোজির ব্যবহার সর্বত্র। শুরু হয়েছে এর অর্থমূলক ব্যবহারও। ‘লল’ এবং ‘ওএমজি’ ইমো ছাড়াও টেক্সট বাবলে এসেছে আরও অনেক নতুন শব্দের। যেখানে ইমোজির সিম্বোলিক সম্পর্ক রয়েছে শব্দের সাথে সেখানে ব্যঙ্গ চিত্রের নিজেরই ভাষা রয়েছে। নিজস্ব ঢঙ, অর্থ এবং রোলের দিক থেকে ইমোজি আর ব্যঙ্গ চিত্রের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। ২০১১ সালে অ্যাপল একটি সহজ ইমোজি কিবোর্ড প্রণয়ন করে আইওএস ডিভাইসের জন্য।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইলে তথা ডিজিটাল তথ্য আদান প্রদানে গত কয়েক বছর ধরে ইমোজি বেশ জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই ইমোজির জনপ্রিয়তা বেড়েছে ২০১৫ সালেই। যদিও এই ইমোজির শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালে। জাপানিজ টেলিকম প্রতিষ্ঠান এনটিটি ডকোমোতে কর্মরত থাকার সময় শিগেটাকা কুরিটা ইমোজির আবিষ্কার করেন। বার্তা প্রদানে ডকোমোকে অন্যান্য প্রতিযোগিদের থেকে আলাদা করতে ইমোজির ধারণা প্রবর্তন করেছিলেন শিগেটাকা।
ইমোজি শুধু বার্তাতেই সীমাবদ্ধ নেই। সনি পিকচারস এনিমেশনেও জায়গা করে নিয়েছে। সাত চরিত্রের ইমোজি মুভিতেও ব্যবহার হয়েছে ইমোজির। ইমোজির ব্যবহার হয়েছে মিউজিক ভিডিওতেও। ইমোজির প্রসার ঘটেছে ফ্যাশন সহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে।
পরিবেশগত দিক দিয়ে অনেকক্ষেত্রেই শব্দের পরিবর্তে ইমোজি ব্যবহৃত হয়েছে। অক্টোবরে ম্যানহাটন’স অ্যালফট হোটেলস টেক্সট আইটি, গেট ইট তাদের ইমো ছেড়েছে চলতি বছরের অক্টোবরে। এই ইমোর মাধ্যমে হোটেলের অতিথিরা কোন টাইপ না করে শুধু ইমোর মাধ্যমেই নিজেদের প্রয়োজন জানাতে পারতেন। ‘দ্য হ্যাঙ্গওভার’ এবং ‘দ্য ম্যানচিজ’ নামে দুটি ইমোজি মেনু এবছর বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডমিনো পিজা শুধু পিজা ইমোজিতে ক্লিক করে পিজা অর্ডার করার ব্যবস্থা করেছে। ফুজি নামে একটি ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান তাদের ফুড পছন্দ করতেও ইমোজির ব্যবহার করেছে নিউ ইয়র্ক, শিকাগো এবং ফ্রানসিসকোতে। সবচে বেশি ইমোজি ব্যবহার করা হয়েছে ফেসবুকে। প্রতিক্রিয়া জানানোর মোক্ষম উপায় হিসেবে সব ব্যবহারকারীরাই কম বেশি ইমোজির ব্যবহার করে থাকে।
শুধু ফেসবুকেই নয় ইমোজি এবার অক্সফোর্ড ডিকশনারির ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ হয়েছে। চলতি বছরের অনেক সামাজিক আন্দোলনেও ইমোজি প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে।
অ্যাপলের আইওএস ৯ তেও ব্যবহার করা হয়েছে ইমোজি যা ইমোজির সাফল্যের প্রমাণ।
























