[english_date]

ইতিহাসের মহানায়কদের নিয়ে ৭ দিনের নাট্যাৎসব

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সম্রাট লালন, বিপ্লবী সূর্যসেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহাত্মা গান্ধী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও গৌতম বুদ্ধ- ইতিহাসের এই সাত মহানায়ককে নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ হবে। কাল শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে শুরু সাতদিনের নাট্যোত্সব ‘ইতিহাসের মহা-নায়কেরা’। ঢাকার পাঁচটি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি ও চট্টগ্রামের একটি মোট সাতটি নাট্যদলের ৭টি নাটক নিয়ে এ উত্সব আয়োজন করেছে ইউনিভার্সেল থিয়েটার।

উত্সবে পরিবেশিত হবে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে পালাকারের নাটক ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, বাউল লালনকে নিয়ে থিয়েটারের নাটক ‘বারামখানা’, ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্ল­বী সূর্যসেনকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরি’র নাটক ‘সূর্যসেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লোকনাট্য দলের ‘মুজিব মানেই মুক্তি’, ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে মহাত্মা গান্ধীর নোয়াখালি সফর নিয়ে ইউনিভার্সেল থিয়েটারের নাটক ‘মহাত্মা’, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে আরণ্যক নাট্যদলের প্রযোজনা ‘এবং বিদ্যাসাগর’ এবং গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী নাট্য ভাবনার নাটক ‘শ্রমণ’।

আগামীকাল শনিবার বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উত্সবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট— আইটিআই এর বিশ্বকেন্দ্রের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। সভাপতিত্ব করবেন উত্সব আহ্বায়ক পুলক রাহা।

গতকাল বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ সব তথ্য তুলে  ধরেন ইউনিভার্সেল থিয়েটারের দল প্রধান আজিজুল পারভেজ। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উত্সব আহ্বায়ক পুলক রাহা, সদস্য সচিব শওকত আলী মনসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক দীন ইসলাম শ্যামল, নাট্যশিল্পী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।  শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে ১০ নভেন্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাটকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে সেমিনারের আয়োজন থাকবে উত্সবের শেষ দিন ১০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টায় একাডেমির সেমিনার কক্ষে।

‘ভোরের পাখি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’

ভাষাসংগ্রামী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১৩১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি গতকাল বৃহস্পতিবার একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে স্মারক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে । অনুষ্ঠানে ‘ভোরের পাখি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন লেখক-গবেষক ড. নূহ-উল-আলম লেনিন। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী আরমা দত্ত উপস্থিত ছিলেন।

নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত একটি ভেদ-বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ মানবিক সমাজ গড়ার সংগ্রামে অনাগতকাল ধরে ধ্রুবতারা হয়ে আমাদের পথ দেখাবেন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সংবিধান সভায় পাকিস্তানের ভাষা বিতর্কের সূচনা করেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপনেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদত বরণ করে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের আত্মার সঙ্গে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ