রবিববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে অবহিত করে সিইসি বরাবর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাক্ষরিত একটি চিঠি প্রদান করে বিএনপি। সিইসির দেখা না পেয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের হাতে চিঠিটি তুলে দেন রুহুল কবির রিজভী।
এসময় তিনি বলেন, আমরা জানি পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও (ইউপি) একতরফা নির্বাচন হবে, তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানাতে এসেছি। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজ মনে করে দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন হলে সামাজিক সংস্কৃতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। কারণ ইউপিতে প্রার্থীরা ব্যক্তি পরিচয়ে পরিচিত, রাজনৈতিক পরিচয় কাজ করে না।’[ad id=”28167″]
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি মনে করে ইউপিসহ যে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হলে সামাজিক বন্ধন বিনষ্ট হবে। গ্রামে গ্রামে সংঘাত সৃষ্টি হবে। তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে, গণতন্ত্রকে সম্প্রসারিত করতে আমরা ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া এই ক্ষুদ্র পরিসরে নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারবে।’
তফসিল হওয়ার পর কেন এ বিষয়ে ইসিকে জানানো হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগে পৌরসভা নির্বাচনে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু ইসি বিষয়টি আমলে নেয়নি।’
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচনের মাধমে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে ভোট জালিয়াতি, ডাকাতি এখন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। তারপরও নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আমরা আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি।’
বিএনপির আপত্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচনী আইনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো সুযোগ নেই।