
ফাগুনের মাসে রং লেগেছে মাশরাফির ঘরে। হাত দিলেই সোনা ফলছে এখন।দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে এনে দিয়েছেন শিরোপা। শুধু তাই নয় বিপিএলের সব আসরের চ্যাম্পিয়ন দলপতি তিনি। এবার যোগ হল আরকেটি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হলেন মাশরাফি। ২০১৪ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ দলের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান মাশরাফি। তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি বড় দলকে ওয়ানডে সিরিজে হারায় টাইগাররা।
ইউনিসেফ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলো থেকে কিছু শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ করে থাকে। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্যই শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ করা হয়ে থাকে। বিশ্বের কোনো শীর্ষস্থানীয় নেতা, খেলোয়াড়, চলচ্চিত্র তারকাসহ আরও বিভিন্ন পেশাজীবীদের এ পদে নিয়োগ করা হয়।২০১৩ সালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমি, যাদু শিল্পী জুয়েল আইচ মনোনীত হন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত। ২০০৫ সালে একই ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছিলেন ক্রিকেটার হাবিবুলি বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল ও টেবিল টেনিস তারকা জোবেরা রহমান লিনু।
এর আগে বছরের শুরুতে উইজডেন ইন্ডিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেন মাশরাফি। তিনি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ২১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেখানে টাইগাররা জয় পেয়েছে ১৬টিতে। আর হেরেছে ৫টি ম্যাচে। ম্যাশের নেতৃত্বেই ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো সাত নম্বরে উঠে আসে বাংলাদেশ। আর ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।২০১৫ সাল ক্রিকেট বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। বল হাতেও দারুণ সফল ছিলেন তিনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে বোলিংয়ে ১৬ উইকেট লাভ করেন মাশরাফি।
দেশের হয়ে এই গৌরবান্বিত পদে কাজ করার সুযোগ পেয়ে মাশরাফি নিশ্চয় মহাখুশিতে আছেন।