[english_date]

ইংরেজেদের খুশি করতে তৎকালিন দূর্গাপুজায় অশ্লীলতা!

পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজদৌল্লাকে হারিয়ে ক্লাইভ জয়ী হয়েছে৷ তাই ইংরেজদের খুশি করার সুযোগ খুঁজছিলেন শোভাবাজারের নবকৃষ্ণ দেব৷ ক্লাইভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে দুর্গা পুজোর আয়োজন করে আমন্ত্রণ জানালেন তাঁকে ৷ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুনে পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল আর সেই বছরেই শুরু হল দেব বাড়িতে দুর্গা পুজো৷ শোনা যায় সেই সময় আবার ক্লাইভ চিন্তিত ছিলেন দেশিয় প্রজাদের নিয়ে৷ মীরজাফরকে বাংলার নবাব করে মুসলিমদের কিছুটা আস্থাভাষণ হতে পারলেও হিন্দুদের নিয়ে ছিলেন উদ্বিগ্ন৷ সেই সময় নবকৃষ্ণের কাছ থেকে দুর্গাপুজোর আমন্ত্রণ আসলে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন৷ কারণ তখন ক্লাইভ মনে করেছিলেন বঙ্গের হিন্দুদের প্রধান উৎসব দুর্গাপুজোয় সশরীরে হাজির হলে হিন্দুদের আস্থা অর্জন সম্ভব হবে৷ অর্থাৎ এই পুজোর আয়োজনে ক্লাইভ এবং নবকৃষ্ণ উভয়ের উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছিল বলেই মনে করা হয়৷ ক্লাইভকে আমন্ত্রণের ফল স্বরূপ জমিদার নবকৃষ্ণ রাজা উপাধি পেলেন৷ তাছাড়া জুটল সিরাজের কোষাগারের লুন্ঠিত সম্পত্তির একাংশ৷
সেবারে রাজবাড়িতে উৎসবের নিমিত্তে খরচা এবং জাঁকজমকে একেবারে তাক লাগিয়ে দিলেন নবকৃষ্ণ ৷ দেবীর বসার জন্যে এক বিরাট সোনার সিংহাসন নির্মিত হয়েছিল৷ যাকে ঘিরে ছিল সোনা-রূপার কাজ৷‌ ওই যে শুরু হল তারপর প্রতি বছর সাহেব-মেমরা আমন্ত্রিত হতেন পুজোয়৷ আর তাদের জন্য এমন আপ্যায়নের ব্যবস্থা হত তা কল্পনার অতীত৷‌ অতিথির মনোরঞ্জনের জন্য বসত বাইজি আসর ৷‌ পাশপাশি বসেছিল নাচগান আর যাত্রাপালার আসর ৷‌ তবে শুধু শোভাবাজারের দেববাড়ি বলে নয় সেকালে দুর্গাপুজোর আয়োজনের নেপথ্যে লুকিয়ে আরও এমনই বেশ কিছু কাহিনি৷ তথ্য সূত্র : কলকতা২৪

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ