হোয়াইট হাউস ফিরছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে মার্কিন ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মামলার আসামি প্রেসিডেন্ট পদে জিতেছেন। একজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এবার কী মামলা চলবে?
ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তাঁর ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। নভেম্বরের শেষ দিকেই হয়তো সাজা ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে জিতে যাওয়ায় এই মামলা থেকে তিনি হয়তো অব্যাহতিও পেতে পারেন। সেটি সময়ই বলে দেবে।
এর বাইরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করা হয়। ফের প্রেসিডেন্ট হলে প্রথমেই অ্যাটর্নি জেনারেল স্মিথকে বরখাস্ত করবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে মামলার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়বে।
২০২০ সালের নির্বাচনে টান টান লড়াইয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের জর্জিয়া অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল। তবে সেখানকার নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক এখনো জারি রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেখানকার ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সেই মামলা আপাতত স্থগিত।
ফৌজদারি মামলা ছাড়াও একাধিক দেওয়ানি মামলাতেও নাম জড়িয়েছে ট্রাম্পের। নিউইয়র্কের আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অধিকৃত সম্পত্তির মামলা চলছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বেআইনিভাবে ৩০ কোটি ডলারের সম্পত্তি করেছিলেন ট্রাম্প, এ অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্য তাঁর জেল হবে না, দিতে হবে জরিমানা।
বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক সিএনএনকে বলছেন, এসব মামলা এখন হয়তো নথিতেই আটকে থাকতে পারে। এর আগে আমেরিকার ইতিহাসে কোনো অপরাধী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অবস্থানে যেতে পারেনি।
এ নিয়ে লোয়োলা ল স্কুলের সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক জেসিকা লেভিনসন বলছেন, এসব মামলা এখন শিগগির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।