চিরপ্রতিদ্বন্দী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। বহু বছর ধরেই এই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। সেই টানাপোড়েন দূর করার একটি কার্যকরী হাতিয়ার হতে পারতো দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ। কিন্তু এবার সেই ক্রিকেট নিয়েই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দুদেশের সম্পর্ক। ভারতে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে পাকিস্তান, মূলত এমন অভিযোগে কারণেই পাকিস্তানের সাথে কোনরকম সুসম্পর্ক রাখার বিপক্ষে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল শিবসেনা। সেই শিবসেনার প্রতিরোধের কারণেই সোমবার মুম্বাইয়ে পণ্ড হয়ে গেছে এই দুই দেশের বোর্ড প্রধানদের মধ্যকার বৈঠক।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের বাকি অংশ থেকে প্রত্যাহার করা পাকিস্তানি আম্পায়ার আলীম দারকে। মঙ্গলবারের পূর্বনির্ধারিত আরো একটি বৈঠক স্থগিত করেছেন ভারতীয় বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের আদৌ নিরাপদ মনে করবেন তো পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা? এমন প্রশ্নই এবার তুলেছেন আইসিসির সভাপতি ও সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার জহির আব্বাস, ‘ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তাদের বিষয়টি দ্রুত মীমাংসা করা উচিৎ। অন্যথায় নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারত সফর করতে রাজি নাও হতে পারে।’
আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় একই রকম পরিস্থিতি থাকলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগ থাকবে বলেই মনে করেন তিনি, জহির আরো বলেন, ‘আমি জানি না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভারতের পরিস্থিতি কেমন থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতি এমনি থাকলে আমাদের ক্রিকেটারদের উপর অতিরিক্ত চাপ থাকবে।’ আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানি এহসান মানি দিন কয়েক আগেই বলছিলেন যে পাকিস্তানের উচিৎ আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের সাথে একই গ্রুপে থাকতে অস্বীকৃত জানানো।
এ ধরণের টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বলে উল্লেখ করে, গ্রুপ পর্যায়ে ভারতের সাথে খেলতে না চাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যাতে করে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আইসিসি ও বিসিসিআই এর প্রতি চাপ বাড়ানো যায়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জহির আব্বাস এ ধরণের শঙ্কা ব্যক্ত করলেন। যদিও ইতিপূর্বে তিনি রাজনীতি ও ক্রিকেটকে এক করে না দেখে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিরিজ আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।