আমেরিকার সঙ্গে সাময়িকভাবে আলোচনা স্থগিত করেছে পাকিস্তান। এর পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে সরকারি সফরও স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পাকিস্তানের সিনেটকে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ। তবে এখনো সরকারিভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয় নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২১ আগস্ট আফগানিস্তান বিষয়ক নতুন নীতি ঘোষণার সময় পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়া ও পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের জন্য অভয়ারণ্য বানানোর বিষয়ে অভিযুক্ত করার পর ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাম্প তার বক্তৃতায় সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেন অন্যদিকে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। ট্রাম্পের বক্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নীতি ঠিক করার জন্য গতকাল পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে।
সিনেটকে খাজা আসিফ বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত সপ্তাহে তার আমেরিকা সফরের কথা ছিল কিন্তু তিনি তা স্থগিত করেছেন। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের ইসলামাবাদ সফর স্থগিত করার অনুরোধ করেছে ইসলামাবাদ। ওয়েলসের সফর স্থগিত করে ইসলামাবাদ তার বিপরীতে আফগান বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত দেং সিজুনকে স্বাগত জানিয়েছে।
পাকিস্তান যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ও সফর বিনিময় স্থগিত করে নি তবে এসব ঘটনাকে পাক-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।