৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছি: খালেদা জিয়া

আর্থনিউজ২৪: এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছি। সর্বদলীয় বৈঠকের কথাও বলেছি।গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপি মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া,  তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতন্ত্র পন্থার দল। আমাদের দল কোনভাবেই কোন ধরনের উগ্র পন্থাকে সমর্থন করে না। সকল ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

কিন্তু সরকার দেশে-বিদেশে বিএনপি’র মতো একটি রাজনৈতিক দলকে সন্ত্রাসী চরিত্রের কালিমা লেপনের যে অপপ্রয়াস চালাচ্ছে- তা দেশে বিদেশে কোন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এবং পাবেও না। বরং সরকারের ফ্যাসিবাদী রূপই আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশ ক্রমাগত গভীর সঙ্কটের দিকে এগুচ্ছে। আমাদের কাছে দেশের স্বার্থ বড়, জনগণের স্বার্থকেই আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।

আমি বারবার জাতীয় সংকট মোকাবিলায় জরুরিভাবে জাতীয় সংলাপের আহবান জানিয়েছি আন্তরিকভাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও সত্য যে, সরকার আমাদের সে দাবির প্রতি এখন পর্যন্ত কর্ণপাত করেননি। খালেদা জিয়া বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সরকার প্রধান অচিরেই আরেকটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার পর দেশে আজ এক সর্বগ্রাসী কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থায় বিপর্যস্ত। যার ফলশ্রুতিতে শাসকদলের ক্ষমতা নির্ভর দম্ভ উল্লাসিকতা আর প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে মিলে মিশে একনায়কতান্ত্রিক আচরণে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

তিনি বলেন, সবাই এখন উপলব্ধি করতে পারছেন, এমনি ধরনের একটি পরিস্থিতিতে দেশ আজ গভীর সংকটেও নিপতিত। এখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, এমনকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দু’জন সদস্য মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি দু’জন বিদেশীর দুঃখজনক ও মর্মান্তিক হত্যাকা-ের পর একজন প্রকাশকও হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন।

আমি এসব ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি। খালেদা জিয়া বলেন, ঘরে বাইরে এখন কেউই নিরাপদ বোধ করছেন না। চারদিকে আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে, যেন সামনে ঘোর অন্ধকার! অথচ সরকার অবনতিশীল আইন পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এরই মধ্যে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যিনি দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার পর, তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়ায় আমি বিস্মিত। এমন একজন অসুস্থ রাজনীতিককে কারাগারে পাঠানো-সরকারের চরম অমানবিক ও অসহিঞ্চু দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিমধ্যে আমাদের দলের পক্ষ থেকে তার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং এ মাসের ২৪ তারিখে বিদেশী ডাক্তারের পরামর্শে তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারটিও নির্ধারিত ছিল। কারাগারে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাই স্বাভাবিক এবং সরকার জেনে বুঝে একজন অসুস্থ মানুষকে পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করার মধ্য দিয়ে তার জীবনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ