আফগান সুশীল সমাজের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার কথা স্বীকার করেছে দেশটির তালেবান। নরওয়েতে একটি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বৈঠক হয়েছে বলে আজ (শুক্রবার) ঘোষণা করেছে তালেবান।
আফগান সরকার গত কয়েক বছর ধরে তালেবানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার যে চেষ্টা করছে তা তেমন একটা সাফল্যের মুখ দেখেনি। কিন্তু দেশটির বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই তালেবানদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের কথা শোনা যাচ্ছে।
নরওয়ে সরকার গতকাল (বৃহস্পতিবার) জানায়, দেশটিতে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আফগান সুশীল সমাজের কিছু সদস্যের আলোচনা চলছে। আফগান প্রতিনিধিদের মধ্যে চার নারী সদস্য রয়েছেন এবং আফগানিস্তানে নারীর অধিকার প্রশ্নেই মূলত আলোচনা চলছে বলে অসলো জানিয়েছে।
এ সম্পর্কে আজ তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, নরওয়েতে আফগান সমাজের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তালেবানের রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেছেন। দখলদার শক্তির হাত থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করার বিষয়ে আফগান সুশীল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি জানার জন্য তালেবান প্রতিনিধিরা সেখানে গেছেন। তবে “এ বৈঠককে কোনো অবস্থায়ই ‘শান্তি আলোচনা’ বলে চালিয়ে দেয়া যাবে না” বলেও উল্লেখ করেন তালেবান মুখপাত্র।
আফগানিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, নরওয়ের আলোচনায় আফগান সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন দেশটির শান্তি বিষয়ক উচ্চ পরিষদের দুই নারী সদস্য হাওয়া আলম নুরিস্তানি ও সেদ্দিকা বালখি এবং দু’জন নারী সংসদ সদস্য ফাওজিয়া কুফি ও শুকরিয়া বারেকজাই। তবে আফগানিস্তানের শান্তি বিষয়ক উচ্চ পরিষদ বলেছে, নরওয়ের আলোচনা সম্পর্কে তারা কিছু জানে না এবং দুই নারী সদস্য তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেখানে গেছেন।