আফগানিস্তানে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে চান আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি ফাতৌ বেনসৌদা। শুক্রবার তিনি বলেন, দেশটিতে যুদ্ধাপরাধের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা বের করে দেখতেই তিনি এ তদন্ত করতে চান।
ওইদিন এক বিবৃতিতে ফাতৌ বেনসৌদা বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমি একটি উপসংহারে এসেছি যে, সকল আইনগত দিক বিবেচনা করেই আমি এ ব্যাপারে তদন্ত কাজ শুরু করতে চাই। তবে প্রধান কৌঁসুলি তদন্তের কথা বললেও নির্দিষ্ট কোন কিছুর কথা তিনি উল্লেখ করেননি। এ নিয়ে গত বছরের প্রতিবেদনে আইসিসি’র প্রসিকিউটররা বলেছিলেন, তালেবান এবং তাদের অনুগত ,আফগান কর্তৃপক্ষ, মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং সিআইএ এ ধরনের কিছু একটা ঘটাতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমি মনে করছি,বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবো যাতে একটা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা যায়।
বেনসৌদা বলেন, আমাদের অনেকেরই বিশ্বাস যে সেখানে তেমন ধরনের কিছু একটা ঘটেছে। আর সে বাস্তবতা থেকেই আমরা এর তদন্ত কাজ শুরু করার পক্ষে। তিনি বলেন, এটি এখন হেগের বিচারকদের ওপর নির্ভর করছে, তারা কতখানি কী করবেন। তারা উপাদানগুলোকে আমলে নিয়ে তদন্তের অনুমতি দিবেন কি দিবেন না- এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। একপর্যায়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যদি অনুমতি মেলে তাহলে তার অফিস এর তদন্ত করবে। তিনি বলেন, যত বড় শক্তিই এর পিছনে থাকুক না কেন অত্যন্ত নিষ্ঠা,স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবেই এই তদন্ত করা হবে।
এদিকে আইসিসি’র গত বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ‘বিশ্বাসের যথেষ্ট ভিত্তি’ রয়েছে যে , মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী ৬০ বন্দির ওপর ‘নির্যাতন’ চালিয়েছিল। এছাড়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ আরো ২৭ বন্দির ওপর ‘নির্যাতন’ চালিয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে কিনা সে বিষয়ে তখন কিছু বলা হয়নি। আল জাজিরা।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : 229