
লক্ষ্মীপুরে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের সময় জনতার ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুজনকে ধরে পিটুনির পর একজনকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, আইনজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চার শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া অন্য কয়েকজন জামিনে থাকা আসামিও আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় আসামিরা আদালত প্রাঙ্গণে জয় বাংলা শ্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে জামিনে থাকা আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহল আমিনের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মী লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করে। লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করলে আদালতে থাকা উত্তেজিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয় ও হামলা চালায়। এ সময় দুজনকে ধরে মরধরের পর একজনকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। অপরজন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে লক্ষ্মীপুর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের আইনজীবীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটর মো. আহমেদ ফেরদৌস মানিক ও অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘খুনি হাসিনার দোসররা এখনো বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। আদালত প্রাঙ্গণে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে লিফলেট বিতরণ করার সাহস পায় কীভাবে?’ শিগগিরই জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ জানান, আদালত প্রাঙ্গণে পিটুনির পর পরান চৌধুরী নামে একজনকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।