ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের প্রকাশকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় লন্ডনের আদালতে সাক্ষ্য দিলেন প্রিন্স হ্যারি। ১৩০ বছর পর এ প্রথম রাজ পরিবারের কোনো সদস্য আদালতে হাজির হয়েছেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৬ জুন) ডেইলি মিরর প্রকাশকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় লন্ডনের আদালতে সাক্ষ্য দিতে যান প্রিন্স হ্যারি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মিররের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
ব্রিটিশ বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, মোবাইলে আড়ি পেতে বেআইনিভাবে ভয়েস কলসহ বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ট্যাবলয়েডটির বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রিন্স হ্যারি। এসব তথ্যের মধ্যে রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট বেশকিছু সংবেদনশীল তথ্যও রয়েছে। প্রিন্স হ্যারি ছাড়াও এর আগে শতাধিক তারকা ও বিখ্যাত ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমটির বিরুদ্ধে আড়িপাতার অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলার অংশ হিসেবে প্রিন্স হ্যারিকে হাইকোর্টে জেরা করা হয়। আদালতে হাজির হওয়ার পর দেয়া সাক্ষ্যে তিনি বলেছেন, ‘ইটন স্কুলে পড়াকালীন কিশোর বয়সে ট্যাবলয়েডটি তার ভয়েসমেইল হ্যাক করেছিল। আমি তখন ক্রমাগত ভয়েসমেইলে চ্যাটিং করতাম; কারণ তখন টেক্সট মেসেজিংয়ের ব্যবহার খুব কম ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভয়েসমেইলগুলোতে একান্ত ব্যক্তিগত এবং সংবেদনশীল তথ্য ছিল। টেবলয়েডিটির এমন ‘হিন’ আচরণ আমাকে ‘প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণার’ মধ্যে ফেলেছিল।
যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ডেইলি মিরর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, হ্যারির দায়ের করা মামলাকে বাকস্বাধীনতার জন্য চরম হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছেন ট্যাবলয়েডটির আইনজীবী। একই সঙ্গে একে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।