কানাডায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরী ছাড়াও রয়েছেন জাতীয় চার নেতা তথা জেলহত্যার অভিযুক্ত আসামী। তারা হলেন রেডএলার্টকৃত ক্যাপ্টেন (অব.) হাশেম কিসমত এবং ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারী।
হাশেম এবং নাজমুল এখন কানাডার নাগরিক। তারা অটোয়ায় ও মন্ট্রিয়লে বসবাস করছেন। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলায় হাইকোর্টের তৃতীয় আদালত থেকে খালাস পেলেও তাদের বিরুদ্ধে জেলহত্যার অভিযোগে রেডএলার্ট রয়েছে।
এছাড়া আরেক আসামী, সরকারের নথিতে ‘পলাতক’ মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামান পালিয়ে কানাডায় আত্মগোপন করেছেন বলে খবরে প্রকাশ। কিন্তু তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এদের মধ্যে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.)কুখ্যাত কিসমত হাশেম এ বছর ২৫ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২০০০ সাল থেকে ক্যান্সার, হৃদপিণ্ডও ও মস্তিস্কের ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ জীবনযাপন করছিলেন।
তার চিকিৎসার জন্য মন্ট্রিয়লের নিউরোলজি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে (ইনটেনসিভ কেয়ারে) রাখা হয়েছিল। সেখানে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
তিনি ১৯৮০ সালে কানাডায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিফ্যুজি ক্লেইম করে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। প্রায় আট বছর পর কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি পান। পরে কানাডার নাগরিকত্ব পান।
মন্ট্রিয়লে বাড়ি থাকলেও নিঃসন্তান কিসমত সব সময় লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন।
একই ভাবে অনেকটা আত্মগোপন করে জীবন যাপন করছেন অপর আসামী ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারী।