২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ বিশ্ব বেতার দিবস

আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘৫ম বিশ্ব বেতার দিবস।’ বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি অনুসরণীয় মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওগুলো।

আগামীর বাংলাদেশ হবে রেডিও’র বাংলাদেশ। সরকার ইতিমধ্যে ২৮টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) ২০০০ সালে থেকে বাংলাদেশে গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নয়নমূলক তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি সেবা, জীবনঘনিষ্ঠ যাবতীয় তথ্য জনগণের মাঝে সহজ ভাষায় প্রচারের লক্ষ্যে কমিউনিটি রেডিও চালু করতে সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করে আসছে।

দেশে বর্তমানে ১৬টি কমিউনিটি রেডিও প্রতিদিন ১২৫ ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠান সমপ্রচার করছে। ১ হাজার তরুণের অংশগ্রহণে নতুন ধারার এ গণমাধ্যমটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ১৪টি জেলার ৬৮টি উপজেলার প্রায় ৫৫ লাখ জনগোষ্ঠী কমিউনিটি রেডিওর সুবিধা ভোগ করছে বলে জানিয়েছে বিএনএনআরসি। কমিউনিটি রেডিও স্টেশন পর্যায়ে ৫ হাজার ‘শ্রোতা ক্লাব’ গঠিত হয়েছে শ্রোতাদের সমন্বয়ে।

এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয় কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সমপ্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি ও সদিচ্ছার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নকারী দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ। তথ্য মন্ত্রণালয় ১৬টি কমিউনিটি রেডিওর সঙ্গে আরও ১৬টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। বিএনএনআরসি আশা করছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬টি কমিউনিটি রেডিও সমপ্রচারের কাজ শুরু করবে।

বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি রেডিওগুলোর মূল প্রভাব হলো জনগণের দোরগোড়ায় স্থাপিত এই গণমাধ্যম দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের কথা সরাসরিভাবে বলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার করা ও শোনার সুযোগ।

তিনি আরও বলেন, এই নতুন গণমাধ্যম সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে তথ্য এবং যোগাযোগের অধিকার এনে দিয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতকরণে জনপ্রতিনিধি, সরকারি এবং বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সংলাপ আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান খাতগুলোর সঙ্গে জনসাধারণের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, সামপ্রতিক ঘূর্ণিঝড় মহাসেন এবং কমেন-এর সময় উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত কমিউনিটি রেডিওগুলোর ভূমিকা সব মহলে প্রশংসিত হয়। এ মুহূর্তে আরও অন্তত ৫০-৬০টি কমিউনিটি রেডিওর আনুমোদন দিলে গ্যাপ এলাকা যথা মিডিয়া ডার্ক এলাকাগুলো কমিউনিটি রেডিওর আওতায় আসবে বলে তিনি মনে করেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ