[english_date]

আজিজ কাজলের গুচ্ছ কবিতা

আমাদের রসুই গেহ

 

রসুই ঘরে এখন জমেনা তারা,

চাঁদের উষ্ণ পাতার দোল্-সামিয়ানা।

জ্বলনের আগুন কণার ফুৎকারে

নিকোন উঠোনের তলই; মেঝবানী মাংসের

অমৃত আর দই-চাঁপার কদলী-

তোমরা যারা ভেবেছো প্রকৃতির নিখাদ

প্রেমের এই বাতুলতাও একদিন চুলোয় যাবে। সোমত্ত উন্মাদে আমি নিশ্বাসের এই অমৃত

বুকে ধরে, বেঁচে আছি তোমার শূণ্য চরাচরে

ঊণ-বাতাসের মুগ্ধ চোখে।

 

এই প্রমেহ দিনে

 

ইহা বুনো শুয়োরের কেচ্ছা-কাহিনী শুনার

মতোই। ছায়ার ওম থেকে প্রতিদিন দেখছি

শ্যাওলা-রোদন; বানিয়ে চলেছি একটি নরোম

সূর্যাস্ত আর কফিনের নীরবতা।

তোমার ছলনা থেকে প্রতিদিন  চুরী যাচ্ছে

আমার শীহরণ,ঘামের নরোম।

এই সহজাত সুরের উল্লাস আর ব্যাথার দান-

কীর্তিনাশা নদীর প্রমদ প্লাবন, বেদনা-অপার।

 

মিমিক্রী

 

তোমার চকচকে  বিজ্ঞাপনের প্যাকেটে

স্বর্ণোজ্বল ত্বক আর কেশাগ্রের কোমলতা;

ঢেকে যাচ্ছে তোমার প্রকৃত সৌন্দর্য বেঁকে

যাওয়া নদীর নরম।

ওলো সুন্দরী বেহুলা কৃষ্ণ-

এই লাউচড়া শহরে বসনের অন্তবাহে জ্বলছে

আগুন!

কালো নজরে এই তীথির ভোর-আলোয়

ডাকা পড়েছে আমার মায়াহরা দেশ, সহজাত

সরলতা।

 

 ওহে আমার দূরালয়

 

এই পৃথিবীর প্রতিটি সুরের কাছে 

আমার প্রাচ্য মায়ের পদচিহ্ন,

নূপুর ধ্বনির ওড়াল-পঙ্ক নাও ভাসিয়ে দিয়েছে।

বিবেকের অসীম দুয়ার খুলবে কি আর জানিনা;

সবকিছু তোমরা প্যাকেজ করেছো-

খাবার-দাবার-স্বাস্থ্য-শিক্ষা-পরিবেশ

গাছপালা,লতাপাতার সৌন্দযর্।

তোমরা চাও,সবুজ পাতার মরমে

একই রঙের বর্ণভেদ-

পৃথিবীতে থাকবেনা কোন রেখাচিহ্ন অনন্য।

 

প্রণমহি বঙ্গে     

 

আমাদের ঐতিহ্যবাহী শাড়ীর আঁচল

বিবিধ বাঁকের রহস্য নন্দনে

কতো সুন্দরের তৃষ্ণা মিটিয়েছে;

অনুকূল প্রতিবেশে তাঁত বুনিয়েরা নিজেরাই হয়ে

যেতো বাষ্পীভূত স্বণর্ের পরী।

যারা দীঘর্ তিমির পিদিম রাতের নির্জনে,

হাজারো শাসন আর রক্তজবা পেরিয়ে তৈরি

করেছে পথ নিজের ঠিকানা।

আবারো সরব জাগরে

মিহি আর স্পর্শকাতর হাতে

তৈরি হোক আমাদের পুবের সরল রেখা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ