[english_date]

আগ্রাসন মোকাবিলায় হাইড্রোজেন বোমা ব্যবহার করবে উ-কোরিয়া

বিদেশি আগ্রাসন মোকাবিলায় হাইড্রোজেন বোমা ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করবে উত্তর কোরিয়ার। আজ (বৃহস্পতিবার)উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন।তিনি আরো বলেন, “উত্তর কোরিয়া একটি শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রধর দেশ। নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা নিজের তৈরি পরমাণু ও হাইড্রোজেন বোমা ব্যবহার করবো।”

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ খবর জানিয়েছে।

রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর ‘ফিয়ংচং বিপ্লবী স্থাপনা’ পরিদর্শন করতে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ফিয়ংচং এলাকায় উত্তর কোরিয়ার একটি সেনা ঘাঁটি অবস্থিত যেখানে ১৯৪৫ সালে দেশটির প্রথম সমরাস্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করা হয়েছিল। ওই ঘাঁটিকে ‘বিপ্লবী স্থাপনা’ হিসেবে অভিহিত করে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, “আমরা নিজেদের দেশকে এতটা শক্তিশালী করব যাতে কোনো শত্রু দেশ আমাদেরকে হুমকি দেয়ার সাহস না দেখায়।”

উত্তর কোরিয়া এ পর্যন্ত তিনটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার দিক দিয়ে পরমাণু বোমার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। দেশটি ২০০৬ ও ২০০৯ সালের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় প্লুটোনিয়াম যন্ত্রের মাধ্যমে। তবে ২০১৩ সালের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয় ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ‘ইন্সটিটিউট ফর সায়েন্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি’ গত সেপ্টেম্বরে স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবি তুলে ধরে জানায়, উত্তর কোরিয়ার ইয়ংবিয়ন পরমাণু স্থাপনায় নতুন করে নির্মাণ কাজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, সেখানে সম্ভবত আইসোটপ পৃথকীকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে যা ট্রিটিয়াম উৎপাদন করতে পারে। হাইড্রোজেন বোমা তৈরির একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে ট্রিটিয়াম।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ