অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের সোমাইরপাড় গ্রামে সতীনের ছোঁড়া গমর ভাতের মারে ঝলসে গেছে ছোট সতীনের শরীরের বিভিন্ন অংশ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ছোট সতীন সুবর্ণা অধিকারী।
হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া গৃহবধু সুবর্ণা (১৮) জানায়, গত ৩০ বছর পূর্বে তার স্বামী সত্যরঞ্জন অধিকারী বিয়ে করলেও তাদের ঘরে কোন সন্তান না হওয়ায় বড় সতীন কাজলী রানীর সম্মতিতে গত একবছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে করেন দিনমজুর সত্যরঞ্জন। সুবর্ণা অভিযোগে আরও জানায়, বিয়ের পর প্রথমে তারা দুই সতীন মিলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। ঝগড়ার জের ধরে ধূর্ত বড় সতীন কাজলী রানী ঘটনার দিন রোববার রাত ৮টার দিকে ছোট সতীন সুবর্ণাকে চুলা থেকে ভাত নামিয়ে মার ফেলতে বলে। সুবর্ণা রান্নাঘরে ভাতের মার ফেলা অবস্থায় বড় সতীন কাজলী রানী এক গামলা গরম মার তার গায়ে ছুঁড়ে মারে। গরম মারের ছ্যাঁকায় ছোট সতীনের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখে তার পরিবার। সুবর্ণার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার সকালে তাকে উপজেলা দু:স্থ মানবতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বিছানায় গত চারদিন ধরে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সুবর্ণা। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. আশ্রাফুল ইসলাম শাওন জানান, সুবর্ণার শরীরের বিভিন্ন অংশে অন্তত ২০ শতাংশ ঝলসে গেছে। চিকিৎসায় তার উন্নতি হচ্ছে। স্বামী সত্যরঞ্জন অধিকারী বলেন, আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলেও ঘটনার দিন কোন ঝগড়া হয়নি। বড় স্ত্রী তাকে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় বাগানে গরম ভাতের মার ছোঁড়ার সময় ভুলক্রমে সুবর্ণার গায়ে পরেছে।