[english_date]

আগাম নির্বাচনী হাওয়া ঝিনাইদহে: ১ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী  ৯ জন

আব্দুল্লাহ আল মামুন,ঝিনাইদহ॥
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা  মনোনয়ন পেতে তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের  সাথে গণসংযোগ শুরু করেছে। বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে ও দোয়া সমর্থন পেতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ঝুলিয়েছেন ডিজিটাল সাইনবোর্ড। ঝিনাইদহ ১ আসন (শৈলকুপা) থেকে এবার আওয়ামী লীগের ৫ জন প্রার্থী ও বিএনপির ৩ জন প্রার্থী মনোয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের যে সকল সম্ভাব্য প্রার্থী কাজ করছেন তারা হলেন সাবেক মৎস্য ও প্রার্ণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুজ্জামানের মেয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কল্পনা আক্তার, শৈলকুপা উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়াদ্দার, বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস ও প্রিয়াংকা গ্রুপের মালিক সাইদুর রহমান সজল। অপর দিকে বিএনপি থেকে প্রচারনায় রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব, বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান  আসাদ ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এই আসন থেকে জামায়াতের  কোন প্রার্থীর প্রচারণায় না পাওয়া গেলেও জাতীয়  পার্টির  মনিকা আলম নামের   নাম  শোনা যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ ১ আসনটি  (শৈলকুপা) উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৭ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৫ জন। (নির্বাচন অফিসের সুত্র মতে)।
এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তৃণমুল পর্যায়ে গ্রুপিং রয়েছে। গ্রুপিং ও সামাজিক দ্বন্দের  কারনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী কোমর বেধে এবার মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমে পড়েছেন।
নির্বাচনের এক জরিপে দেখা যায়,১৯৯১ সালের নির্বাচনে ১লাখ ৩১০৭৫ ভোটের মধ্যের বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওহাব ৬৩ হাজার ৬৬৩ ভোট পেয়ে বিজীয় হন।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্ব আওয়ামী লীগের মো: কামরুজ্জামান পান ৪৬ হাজার ০২৯ ভোট। আর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সিরাজ আলী পান ১১ হাজার ৯২৬ ভোট। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির আব্দুল ওহাব পান ৭৫ হাজার ১০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের  মো: কামরুজ্জামান পান ৬৮ হাজার ৫১৪ ভোট, জায়ামাতের আবু তৈয়ব ৫ হাজার ৯৪৫ জন।২০০১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই পান ৯২ হাজার ৬৫২ ভোট, এবং বিএনপির  আব্দুল ওহাব পান ৯২৩০৬ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী  আব্দুল হাই নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই নৌকা প্রতিকে পান ১ লাখ ৯ হাজার ৫০ ভোট। তার  নিকটতম প্রার্থী বিএনপির  আব্দুল ওহাব পান ৮৫ হাজার ৮শ ৯৯ ভোট।২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই পান ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার  পান ১৮ হাজার ৬২ ভোট।
১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওহাব,২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য হিসেবে। সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই  এর বিকল্প কোন প্রার্থী ঝিনাইদহ ১ আসনে নেই। এছাড়া  বিএনপির তিন জন প্রার্থীর মধ্যে কে বিএনপির মনোয়ন পাবে তার বোঝা যাচ্ছে না। তবে এ্যাড: আসাদুজ্জামান ও সাবেক এমপি আব্দল ওহাব এগিয়ে আছেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ