আগামী ডিসেম্বর মাসেই সারা দেশে পৌরসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সব পদেই প্রার্থীরা লড়বেন দলীয় প্রতীক নিয়ে। তবে এসব নির্বাচন একদিনে হবে না একাধিক দিনে হবে এ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করার জন্য পৌরসভা নির্বাচন আইন-২০০৯ সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। গত ১২ অক্টোবর তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম আইনে কী ধরনের পরিবর্তন করা হয়। আজ (মঙ্গলবার) অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আমরা তা হাতে পেয়েছি। এখন এই আইন দেখে আমাদের বিধিমালা পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য বৈঠকে পাঠাব। সেখানে অনুমোদন দেয়া হলে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে, যেহেতু এটি আইনের ব্যাপার।”
ইসি সচিব আরো বলেন, “আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই পৌরসভা নির্বাচনটা করতে চাই।” তিনি আরো বলেন, একদিনে নাকি কয়েক দিনে নির্বাচন হবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের এ সচিব বলেন, “যেহেতু রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন হবে, তাই কমন ব্যালট করা যাবে না। আমরা কাস্টমাইজড ব্যালটের কথা চিন্তা করছি। কাস্টমাইজড ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম এবং প্রতীক থাকবে।” তিনি বলেন, “মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা সব পদেই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে।”
দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে কে স্বাক্ষর করবেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এই বিষয়টি নতুন আইনে নেই। বিধিমালা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর রাজনৈতিক দলের প্রার্থী দলগুলো ঠিক করবে। এতে কমিশনের কিছু করার নাই।” তিনি আরো বলেন, “আমরা নির্বাচনের জন্য বিধিমালা তৈরি করব। কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষতি করার জন্য নয়।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা দেয়া হয় এবং সেখান থেকে দল যাকে মনোনয়ন দেয় সে দলের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়। এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, “আপনারা বিধিমালা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।”