তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় শুরু হযেছে জি-২০ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে প্যারিস হামলা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার বিষয়।
বৈঠকের শুরুতেই জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস)বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ২০টি অর্থনীতির দেশ৷ এর পাশাপাশি, ইউরোপে আসা সিরীয় শরণার্থীদের ভবিষ্যত নিয়েও শুরু হয়েছে টানাপোড়েন৷
অর্থনীতি এবং উন্নয়ন ছাপিয়ে প্যারিস-আতঙ্কের কারণে এ বারের জি-২০ বৈঠক সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাস মোকাবেলায় করণীয় কী হবে এটাই হয়ে উঠেছে আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্ত্ত৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সকলেই ফ্রান্সের পাশে দাঁড়ানো এবং একজোট হয়ে সন্ত্রাস মোকাবেলার কথা বলেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টও বলেন, ফ্রান্সের উপর জঙ্গি হানায় ‘আকাশ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে৷’ ফ্রান্সের পাশে দাঁড়ানো এবং জঙ্গিদমনে তাদের সাহায্য করার কথাও বলেন তিনি৷ তবে ঠিক কী ভাবে আমেরিকা ফ্রান্সকে সাহায্য করবে, তা স্পষ্ট করেননি ওবামা৷
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শান্তি আলোচনা চালানো এবং সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার বিষয়ে ওবামা একমত হয়েছেন বলে জানায় সংবাদসংস্থা এএফপি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওবামা বলেন, ‘বিকৃত মতাদর্শের ভিত্তিতে নিরীহ মানুষের হত্যা শুধু ফ্রান্স বা তুরস্কের উপর আক্রমণ নয়, বরং সভ্য জগতের উপর আক্রমণ৷’
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আন্তর্জাতিক এই শীর্ষ বৈঠকে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে শরণার্থী সমস্যাও৷ পশ্চিম এশিয়া থেকে শরণার্থীদের স্রোত নিয়ে কিছুটা দিশাহারা ইউরোপ৷ যে সব দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, তারাও এই অবস্থান কতদিন বজায় রাখাটা নিজেদের অর্থনৈতিক ভারসাম্যের জন্য ক্ষতিকারক হবে না, তা নিয়ে চিন্তিত৷
এই পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানির চ্যান্সেলর মার্কেল আলাদা করে সতর্ক করে বলেছেন, যদিও তাঁর দেশের অনেক এমপি জার্মান সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবলেও তিনি মনে করেন, জার্মানি এই পদক্ষেপ করলে বলকান রাষ্ট্রগুলিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে