৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অ্যাঞ্জেলিনা শোনালেন কিশোরী বিক্রির গল্প

দীর্ঘদিন ধরে রিফিউজিদের নিয়ে কাজ করার পর প্রকাশ্যে তাদের কথা শোনালেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শোনালেন তাদের গল্প, যারা দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার আর সেটাই শেষ নয়। তাদের বিক্রি করতে হয় দরাদরি। দাম ওঠে কখনও ৪০ তো কখনও ৫০ ডলার।
প্রাক্তন বিদেশ সচিব ইউলিয়াম হঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছেন তিনি। যৌন হেনস্থা ছিল তাঁদের কাজের বিষয়। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন জোলি। তিনি বললেন, ওইসব মেয়েদের সামনে কতটা অসহায় বোধ করতেন তিনি। যারা দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার, অথচ মুখ ফুটে সেকথা বলার সাহস করে না। তাঁর কথায়, শারীরিক অত্যাচার সহ্য করার থেকে তাঁর কাছে আরও বেশি ভয়ঙ্কর মনে হত সেক্স স্লেভ হিসেবে বিক্রি হওয়া। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ঘুরে ঘুরে কাজ করেছেন তিনি। যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া কিশোরীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যারা এতদিন মনে করত তাদের কথার কোনও মূল্যই নেই, তাদের কথাই এদিন সাংবাদিকদের সামনে বললেন হলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

তিনি বলেন, ”আমি বেশ মনে করতে পারি ওই ছোট্ট মেয়েটার কথা, যে সত্যিই খুব ছোট। বয়স হয়ত ৭-৮ হবে। দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু কেঁদেই চলেছে সে। কারণ তাকে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে।” তিনি বুঝতে পারেননি তিনি তাঁকে কি বলবেন, অসহায় লাগছিল তাঁর নিজেকে।
আরও সম্প্রতি তিনি এক ১৩ বছরের মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। অনেক মেয়ের সঙ্গে একটা ঘরে রাখা হয়েছিল তাকে। তাদের প্রত্যেককে দু’জন মিলে নিয়ে যেত একটা নোংরা ঘরে। তারপর নোংরা সোফার উপর চলত একাধিকবার ধর্ষণ। কিন্তু, তার থেকেও সাংঘাতিক ভয়ঙ্কর সত্যিটার কথাও শুনেছেন তিনি। সেইসব মেয়েরা চোখের সামনে দেখত নিজেদের বান্ধবীদের বিক্রি নিয়ে চলছে দর কষাকষি। কারও ৪০ ডলার তো কারও দাম ৫০ ডলারে। সব শেষে অ্যাঞ্জেলিনা বলেন, ”তাদের দাম কি সত্যিই ৪০-৫০ ডলার? তাদের দাম কত? নিজেদের দাম নিজেদের কানে শোনাটা যে কত কষ্টের সেকথাই বারবার বলেছে তারা।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ