আর্থনিউজ২৪: বান্দরবানে ম্রো ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) পরিচিতি ২০১১ সালে ম্রো আদিবাসী যুবকদের নিয়ে বান্দরবানে এমএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশীয় ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০১২ সালের দিকে আলীকদমের পোয়া মুহুরী ও কুরুকপাতা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে সন্ত্রাসী গ্রুপটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করেন তারা। পাহাড়ে হত্যা-সন্ত্রাসের পর অস্ত্রসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন বান্দরবানের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ম্রো ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) ৭৯ সদস্য। গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বৈঠকে আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক এমএনপির ৭৯ সদস্যের একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এ সময় এসব সদস্যের কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। এছাড়া ম্যাগাজিন ও বিপুল-সংখ্যক গুলিও জব্দ করা হয়। আগামীতে এমএনপির বাকি সদস্যদের আলোর পথে ফিরিয়ে এনে এমএনপিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে এমন তথ্য জানান ম্রো জনপ্রতিনিধিরা।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অং প্রু ম্রো বলেন, এমএনপির আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে সন্ত্রাস অনেক কমবে, আসবে শান্তি। আত্মসমর্পণের সময় ম্রো ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) ৭৯ সদস্যরা ৫৫ টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন।