সান্তিয়াগো বার্নাব্যু দেখলে এখন কোনো স্টেডিয়াম নয় বরং ভিনগ্রহের কোন স্পেসশিপ বলে ভ্রম জাগে। বিপুল ব্যয় করে নিজেদের বিখ্যাত স্টেডিয়াম পুন:নির্মাণ করেছে রেয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ ক্লাবটি আশা করেছিল, টেকনোলজিক্যাল এই মার্ভেল থেকে নিয়মিত আয় করে সে খরচ ধীরে ধীরে পুষিয়ে নেবে তারা।
কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনো আয় শুরু করতে পারেনি মাদ্রিদ। এদিকে ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় চলে আসছে, তাই নতুন উৎস থেকে অর্থ খুঁজে নিতে নিচ্ছে ক্লাবটিকে। আর সে উদ্দেশ্যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ডেভিড বেকহামদের ব্যবহৃত লকার নিলামে তুলছে তারা। নিলাম শুরু হবে ১০ হাজার পাউন্ড (আজকের মূল্যমানে ১৫ লাখ টাকা)।
২০০২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত ২৪টি লকারে নিলামে তোলা হচ্ছে। এই সময়টায় আটটি লা লিগা ও ছয়টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে মাদ্রিদ। এবং এই সময় মাদ্রিদে খেলেছেন রাউল গঞ্জালেস, লুইস ফিগো, জিনেদিন জিদান, রোনালদো নাজারিও, সের্হিও রামোস, লুকা মদরিচ, গ্যারেথ বেল, টনি ক্রুস, আনহেল দি মারিয়া, করিম বেনজেমাদের মতো কিংবদন্তিরা।
এত বড় বড় সব নাম যে লকার রুমে বসে ম্যাচের আগে প্রস্তুত হয়েছেন, মাঝ বিরতিতে ম্যাচের কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন, অসংখ্য অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা করেছেন- সেই লকার রুমগুলোই নিলামে উঠছে।
বিখ্যাত নিলাম প্রতিষ্ঠান সদবির লন্ডন শো রুমে গতকাল বুধবার ডিসপ্লেতে রাখা হয়েছে লকার রুমগুলো। এর বাইরে তিন মিটার প্রস্থ মোজাইকের তৈরি মাদ্রিদের ক্লাব ক্রেস্টও আছে। এর দাম ধরা হয়েছে ১২ হাজার পাউন্ড। বার্নাব্যুর একটি দরজাও আছে।
আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে নিলাম। নিলামে অংশ নেওয়া যাবে অনলাইনেই। এই নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ যাবে রেয়াল মাদ্রিদ ফাউন্ডেশন-ক্লাবটির দাতব্য কাজের জন্য নির্দিষ্ট বিভাগে। এছাড়া বার্নাব্যুর পুন:নির্মাণে ব্যয় করা ৫০ কোটি পাউন্ডের ঋণের ভার কমাতেও সাহায্য করবে এই নিলাম।