
অবসরের পর বিচারকদের রায় লেখা নিয়ে কঠোর অবস্থানে প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেছেন, অবসর গ্রহণের পর বিচারকদের কোন পাবলিক ডকুমেন্ট-এ হাত দিতে দেওয়া যাবে না।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বহু দেশেই অবসরের পর রায় লেখার চল নেই। বাংলাদেশের সব শেষ প্রধান বিচারপতিসহ দুই বিচারপতি অবসরে গিয়েছেন ৩০৬ টি মামলার রায় ও আদেশ না লিখেই। এর মধ্যে শরীফ উদ্দিন চাকলাদার ১১২টি এবং এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী অবসরে যান ১৬৯টি মামলার রায়-আদেশ না লিখেই। দীর্ঘ দিনের এই রীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান থেকে শুরু বিতর্কের, যা গড়ায় সংসদ পর্যন্ত। এর মধ্যে আলোচনায় আসে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করা দুই বিচারপতির প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ড।
এর মধ্যে একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য দেওয়ার। এ অবস্থায় ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে বিচার বিভাগ। এমতাবস্থায় দ্রুত আচরণবিধি সংশোধন ও নীতিমালা করার পরামর্শ জেষ্ঠ্য আইনজীবিদের।
জেষ্ঠ্য আইনজীবিরা বলছেন, ভাবমূর্তি রক্ষায় শুধু প্রধান বিচারপতির অবস্থান নয়, স্বদিচ্ছা থাকতে হবে সরকারের। যেহেতু রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগ, তাই আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার বিভাগকে সব বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।