আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত আলোচিত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ব্যক্তিগত জীবনবৃত্তান্ত ও বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের তথ্য চেয়ে সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করেছেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী।
আজ রবিবার সকালে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলামের কাছে এ আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জুলফিকার আলী জুনু।
আবেদনে বলা হয়েছে, ‘তথ্য অধিকার আইনের ৪ ধারায় কর্তৃপক্ষের কাছে একজন নাগরিক তথ্য চাইতে পারে এবং কর্তৃপক্ষ তা দিতে বাধ্য। এ কারণে তথ্য অধিকার আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী এ আবেদন করা হলো। আশা করি, এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারীর অনুকূলে বিচারপতি হিসেবে এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী নিয়োগের সত্যায়িত অনুলিপি ও ফটোকপি সরবরাহ করবেন।’
পরে এ বিষয়ে জুলফিকার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উচ্চ আদালতে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তথ্যের জন্যই আবেদন করেছি।’
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি একই আইনজীবী শপথের সময় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব’ গোপন রাখার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের কাছে আবেদন করেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মো. মোজাম্মেল হক নামের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী বঙ্গভবনে গিয়ে বিচারপতি মানিকের জাজশিপ প্রত্যাহার করার আবেদন জমা দেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখা নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিতর্কে জড়ান আলোচিত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এই ইস্যুতে তিনি বারবার গণমাধ্যমের কাছে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এটাকে সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর কারণে জনগণের কাছে সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও মনে করেন বোদ্ধা মহল।