১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবশেষে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে ই – পাসপোর্ট

নানা জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।এবার নতুনভাবে আলোর মুখ দেখছে বিদেশ ভ্রমণের এই অত্যাধুনিক প্রকল্পটি।

আগামীকাল ২২ই জানুয়ারি রোজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একে একে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে ডিজিটালাইজ। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো লেগেছিল। আজ এর সুফল সবাই পাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘২৪ সালের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও তার অনেক আগেই হয়েছে। আমরা সবার কাছে এমআরপি পৌঁছে দিয়েছি। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই কাজ করছে।’

ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেনের মতে, বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ বর্তমানে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। পাসপোর্ট বুকলেটে একটি ইলেকট্রনিক চিপ ব্যবহারের মাধ্যমে চিরাচরিত নন-ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের চেয়ে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে পাসপোর্টের দুটি পেজে দৃশ্যমান বায়োগ্রাফিক্যাল তথ্যভাণ্ডার ও একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা ফিচার থাকে। ডিজিটাল ফিচার হচ্ছে কোনো দেশের সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল স্বাক্ষর। এই ডিজিটাল স্বাক্ষরগুলো প্রতিটি দেশে একক এবং স্ব স্ব সার্টিফিকেটের মাধ্যমে এটি যাচাই করা যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে, বিখ্যাত জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইস দেশে ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট নিয়ে কাজ করছে। দুই মিলিয়ন ই-পাসপোর্ট তৈরি হবে জার্মানিতে। ফলে যারা আগে আবেদন করবেন, তারা জার্মানির তৈরি পাসপোর্ট পাবেন। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ