২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অপেক্ষা শেষ হচ্ছে প্রায় এগারো লাখ শিক্ষার্থীর

অপেক্ষা শেষ হচ্ছে প্রায় এগারো লাখ শিক্ষার্থীর। আজ (রোববার) প্রকাশিত হবে ২০১৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। রোববার সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের সার সংক্ষেপ তুলে দেয়ার কথা আছে। এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন তিনি। এরপর থেকেই কলেজের নোটিশ বোর্ড, মোবাইলে এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেদের ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার ফল ঘোষণার পরেই উচ্চ শিক্ষায় নিজেদের সফর শুরু করবেন এই ১১ লাখ শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যেই দেশের প্রায় প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, বিগত কয়েক বছরের রীতি ভেঙে এবার সব বোর্ডের সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেরা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘নোংরা’ প্রতিযোগিতার কারণে এ রীতি ভাঙছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা অবরোধের মধ্যে গত ১ এপ্রিল শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। ১১ জুন পর্যন্ত চলে লিখিত পরীক্ষা। ১৩ থেকে ২২ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। সে হিসেবে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৯তম দিনে ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুপুর ২টা থেকে কলেজের নোটিশ বোর্ড, শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যাবে। অনলাইনে ফল পেতে www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। মোবাইলে এসএমএসে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।

মাদরাসা বোর্ডের আলিমের ক্ষেত্রে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। আর এইচএসসি ভোকেশনালের জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

২০১৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী। সে হিসেবে এবারে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬৭ হাজার ৪৯০ জন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা। ৮৩০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন; যা গতবারের চেয়ে ২০১টি বেশি। পরীক্ষা কেন্দ্র গতবারের চেয়ে ৬৭টি বৃদ্ধি পেয়ে এবার ছিল ২ হাজার ৪১৯টি। এছাড়া বিদেশে ৭টি কেন্দ্র থেকে ২৪১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। বিদেশের কেন্দ্রগুলো ছিল- দোহা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলি, দুবাই এবং বাহরাইন।

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩৩৪টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২২৭ জন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ১৮৪টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭০৯ জন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ১৭৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৯৭৪ জন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ২১২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৫ জন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ৯২টি কেন্দ্রে ৮০ হাজার ৬৯৩ জন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ১০৯টি কেন্দ্রে ৫৬ হাজার ৬০০ জন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৭৫টি কেন্দ্রে ৫৮ হাজার ৬৩ জন, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ১৮২টি কেন্দ্রে ৯০ হাজার ৩৮১ জন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ৪১৮টি কেন্দ্রে ৮৪ হাজার ৩৬০ জন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৬২০টি কেন্দ্রে ৯৮ হাজার ২৪৭ জন, ডিআইবিএস-এ ১৮টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৪১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন, এর মধ্যে ১১০ জন ছাত্র এবং ১৩১ জন ছাত্রী।

এবার বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন, পৌরনীতি, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রসহ মোট ২৫টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সৃজনশীল প্রশ্নে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ