হাজারও নাগরিক সমস্যার অপর নাম রাজধানী ঢাকা। শত উদ্যোগেও সমাধান হচ্ছে না অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা এই নগরীর নানা সমস্যা। এমন অবস্থায় ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোও গড়ে উঠছে পরিকল্পনা ছাড়া। ভূমি ব্যবহারে নীতিমালা থাকলেও মানছে না ভূমির মালিকরা।
আর নানা অজুহাতে কর্তৃপক্ষও পালন করছে নীরব ভূমিকা। সমস্যা তৈরি করে যেন সমাধানের উদ্যোগ নেয়া না হয় সে বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বিশ্বের বসবাস অযোগ্য শহরের তালিকায় দুই নাম্বারে থাকা রাজধানী ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। আর এর সঙ্গে প্রতি বছরে নতুন বসতি গড়েন ৫ থেকে ৭ লাখ লোক। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে সামাল দিতে ঢাকা আজ টালমাটাল। যেখানে-সেখানে পার্কিং আর গণপরিবহনের এমন বিশৃঙ্খলা ঢাকাকে পরিণত করেছে যানজটের নগরীতে। একটি আদর্শ নগরীর ২৫ ভাগ রাস্তা প্রয়োজন হলেও এখানে আছে মাত্র ৮ ভাগ। সঙ্গে চলছে ফুটপাত দখলের মহোৎসব। আর যখন তখন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে জনদুর্ভোগের নগরীতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে কী হবে ঢাকার ভবিষ্যৎ।
ঢাকার সমস্যা যেমন খুব সহজেই সমাধান সম্ভব নয় তেমনি একটু সচেতন হলেই সুযোগ রয়েছে নতুন এলাকাগুলো পরিকল্পিতভাবে তৈরি করার। কিন্তু সেখানেও উদাসীনতা। পরিকল্পনা ছাড়াই গড়ে উঠছে মডেল টাউনগুলো। নেই কোন খেলার মাঠ, পর্যাপ্ত রাস্তা কিংবা ভালো স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা। নির্মাণ হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন।
এমন অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবকেই দুষলেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক ড. আখতার মাহমুদ বলেন,’নির্মাতাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্যই এমনটি হচ্ছে।’ দিনের পর দিন এ অবস্থা চললেও যেন মাথা ব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের। জানালেন নিজেদের নজরদারি বাড়ানোর কথা।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়া বলেন, ‘নতুন গড়ে উঠা এলাকাগুলোতে যেনো আর এমনটি না হয়- এ ব্যাপারে আমর নজরদারি করছি।’ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে এখনও সময় আছে সতর্ক হওয়ার। পাশাপাশি আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দিলেন বিশ্লেষকরা।