সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার কারণে আসন্ন রমজানে পবিত্র ওমরাহ পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন অন্তত ২০ হাজার বাংলাদেশী। অথচ ওমরাহ এবং রমজানের শেষ ১০ দিন পবিত্র মক্কা ও মদিনায় এত্বেকাফ পালনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা।
হজ্ব এজেন্সিগুলো বলছে, ওমরাহ’র নামে রোহিঙ্গাদের পাচারের কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি গ্যারান্টি মানি বাড়িয়ে দিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের অনুরোধ জানিয়েছেন হাব নেতারা।
হজ্ব এজেন্সিগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র রমজান মাসেই ২০ হাজারের বেশি মানুষ ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যান। ওমরাহ’র পাশাপাশি অনেকে রমজানের শেষ ১০দিন সেখানে এত্ত্বেকাফ পালন করেন।
কিন্তু ওমরাহ পালনের নামে মানব পাচারের অভিযোগে সৌদি আরব গত ৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ওমরাহ পালনে যেতে ইচ্ছুকদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। চট্টগ্রামে তালিকাভুক্ত হজ্ব এজেন্সি রয়েছে ৯৪টি। হজ্ব এজেন্সিগুলো, ওমরাহ’র নামে যারা রোহিঙ্গাদের পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
রহমত উল্লাহ আল আমিন হজ্ব কাফেলার মালিক স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, ‘অবৈধ রোহিঙ্গা এবং কিছু চাকরী প্রার্থীদের প্রেরণের মধ্য দিয়ে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী বাংলাদেশে ওমরাহ’র স্বাভাবিক যাত্রাকে ব্যাহত করেছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ এ অবস্থায় ওমরাহ নিষেধাজ্ঞা কাটাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন হাব নেতারা।